খাবার তো প্রতিদিনই খাওয়া হয়। গতানুগতিক খাদ্যাভ্যাসে মাঝেমধ্যে ছন্দপতন বা ছন্দউত্থান ঘটাতে অনেকেই ছুটির দিনে পরিবারসহ রেস্টুরেন্টে যান। তবে সবসময় তো আর রেস্টুরেন্টে যাওয়া সম্ভব হয় না। এর জন্য আলাদা প্রিপারেশনও দরকার হয়। সেক্ষেত্রে ঘরটাকে তো রেস্টুরেন্ট বানিয়ে ফেলা যায় যদি খাদ্য তালিকায় কিছু নতুন খাবার যোগ করা যায়।
পোলাও কিংবা ভাত অথবা বিরিয়ানির সঙ্গে অন্য আইটেমের সঙ্গে রাখতে পারেন ভিন্নস্বাদের চিকেন রেজালা। সাধারণত গরু কিংবা খাসির মাংস দিয়ে রেজালা তৈরি করা হয়। গরুর কিংবা খাসির মাংস ছাড়াও মুরগির মাংস দিয়েও তৈরি করে নিতে পারেন মুরগির রেজালা। কীভাবে? জেনে নিন মুরগি রেজালা তৈরির একটা ভিন্নধর্মী রেসিপি, যা আমাদের চিরাচরিত রেজালার মতন নয়।
উপকরণ
৫০০ গ্রাম মুরগির মাংস
৪টি লবঙ্গ
২টি দারুচিনি
৪টি এলাচ
৩টি তেজপাতা
মাখন
১ কাপ টকদই
১ টেবিল চামচ কাজুবাদাম এবং পেঁপের বীচির পেস্ট
তেল
১ টেবিল চামচ সাদা গোলমরিচের গুঁড়ো
১ টেবিল চামচ আদা রসুনের পেস্ট
৩টি পেঁয়াজের পেস্ট
লবণ
৩টি কাঁচামরিচ
১ টেবিল চামচ গরম মশলা
৪টি শুকনো মরিচ
জাফরান
কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল
প্রণালী
১। প্রথমে মুরগির মাংস লবণ, সাদা গোলমরিচের গুঁড়ো, আদা রসুনের পেস্ট, টকদই, পেঁয়াজের পেস্ট সবগুলো একসাথে মিশিয়ে ২ থেকে ৩ ঘন্টা মেরিনেট করে রাখুন।
২। চুলায় প্যান গরম হয়ে এলে এতে মাখন দিয়ে দিন। মাখন গলে গেলে এতে লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা, পেঁয়াজের পেস্ট, আদা রসুনের পেস্ট, সাদা গোলমরিচের গুঁড়ো, লবণ, কাঁচামরিচ কুচি, কাজুবাদাম পেঁপের বীচির পেস্ট, টকদই দিয়ে দিন।
৩। এরপর এতে মেরিনেট করা মুরগির মাংসগুলো দিয়ে দিন। মাংস থেকে পানি বের হয়ে গেলে ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচে ৩০ মিনিট রান্না করুন।
৪। কিছুক্ষণ পর এতে গরম মশলা, চিনি দিয়ে দিন।
৫। আরেকটি প্যানে তেল গরম হয়ে এলে এতে শুকনো মরিচ, পেঁয়াজের রিং, লবণ দিয়ে বাদামী রং না হওয়া পর্যন্ত ২-৩ মিনিট ধরে ভাজুন।
৬। এটি মুরগির রেজালার উপর এই মিশ্রণটি, জাফরান দিয়ে কয়েক মিনিট রান্না করুন।
৭। পোলাও অথবা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন মজাদার মুরগির রেজালা।