বিয়ের অনুষ্ঠান। আর সেখানেই কি না মাংস রান্না হয়নি। বিয়ের অতিথিদের খাবারের পাতে মাংস না থাকায় বিয়েই বাতিল হয়ে গেল। শুনতে অবাক লাগলেও এমনই সিদ্ধান্ত নিল এক পরিবার।
ভারতের মুজাফ্ফরনগরের কুলহেদি গ্রামের ঘটনা। কণের নাম নাগমা। গত বুধবার নাগমার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল পাত্র রিজবনের। সবই ঠিক ছিল। সময় মতো কনের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিতও হয়েছিলেন বরযাত্রীরা। কিন্তু খাবারের তালিকার দিকে নজর যেতেই ঘটল বিপত্তি। খাবারের তালিকায় সবই নিরামিষ খাবারের নাম। মাংস তো নেই, এমনকি কোনও আমিষ খাবারই খাওয়ানো হচ্ছে না আমন্ত্রিত অতিথিদের।
এতেই বেজায় চটে যান পাত্রের বাড়ির লোকজন। কনের পরিবারকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, এমন পরিবারে ছেলের বিয়ে কিছুতেই দেবেন না তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি পঞ্চায়েত বৈঠকও ডাকা হয়। যেখানে রিজবনকে বিয়ে না ভাঙার অনুরোধ জানান অভিভাবকরা। মাথা ঠান্ডা করে শেষমেশ নাগমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যান রিজবন।
কিন্তু তখনই বেঁকে বসেন কনে। যে পরিবার খাবারের জন্য বিয়ে ভেস্তে দেওয়ার কথা ভাবে, সেই পরিবারকে কিছুতেই আর নিজের ভাবি শ্বশুরবাড়ি হিসেবে মেনে নিতে পারেননি নাগমা। ফলে বিয়ের মঞ্চ শূন্যই থেকে যায় সে। তবে এখানেই ঘটনার ইতি পড়ল ভাবলে ভুল করবেন। ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিল বৃহস্পতিবার৷
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন নাগমা। পঞ্চায়েত বৈঠকে নাগমা যখন রিজবনকে বিয়ে করতে রাজি হননি, তখন সেখানে উপস্থিত ওই ব্যক্তি নিজেই কনেকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। পঞ্চায়েত ও কনের সম্মতিতেই বিবাহ সম্পন্ন হয় তাদের।