সবজি ও ফলের জুসের উপকারীতা!

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস April 18, 2017 633
সবজি ও ফলের জুসের উপকারীতা!

আজকাল খুব শুনতে পাওয়া যায় অনেকেই সবজি বা ফল খেতে চায় না। কিন্তু সবজি বা ফলকে যদি জুসে পরিণত করা যায়! তাহলে নিশ্চয় খেতে কারও আপত্তি থাকবে না।


জুস থেরাপি! নাম শুনেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে ফল বা সবজির জুস খেয়ে রোগ নিরাময়ের পদ্ধতিকেই বলে জুস থেরাপি। প্রত্যেক সবজি বা ফলের মধ্যেই রয়েছে কোনও না কোনও ম্যাজিক উপাদান যা শরীরের কোন নির্দিষ্ট রোগ দূর করতে সাহায্য করে।


জুস কিওর থেরাপি করতে হলে সবার আগে জানতে হবে কোন ফল বা সবজির রসে কী গুণ আছে। তা জেনে জুস কিওর থেরাপি প্রয়োগ করেতে হবে।


তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে এই থেরাপি রোগ প্রতিরোধ করে, নিরাময় নয়। রোগের মাত্রা বেশি হলে অবশ্যেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


স্মৃতিশক্তি:

মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার করতে আঙুরের জুস, বীটের জুস কিংবা বেদানার জুস খেতে পারেন।


কিডনিতে পাথর:

কিডনি সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় লেবুর সরবত খেতে পারেন, কিংবা আপেলের জুস, কমলালেবুর জুস খেতে পারেন।


হাইপারটেনশন:

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা মেটাতে আদার জুস, শশার জুস, সেলারির জুস, আপেলের জুস, বীটের জুস খেতে পারেন।


মাথা ব্যথা:

মাথার যন্ত্রণা যদি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে সেলারির জুস, আদার জুস, শশার জুস বা আপেলের জুস খান।


লিভার সুস্থ্ রাখতে:

লিভারে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য শসার রস, তরমুজের রস এবং গাজরের রস খেতে পারেন।


আলসার:

আলসারের হাত থেকে মুক্তি পেতে সেলারির জুস, গাজরের জুস বা বাঁধাকপির জুস খান।


বদহজম:

আপনার যদি হজমের সমস্যা থাকে তাহলে পুদিনা পাতার জুস, লেবুর রস, গাজরের জুস বা আনারসের জুস খেতে পারেন।


শ্বাসকষ্ট:

শ্বাসকষ্টের সমস্যায় লেবুর রস, রসুনের রস, আপেলের রস, পালংক শাকের রস এবং গাজরের রস খেয়ে দেখুন উপকার পাবেন।