১। এই বোমাটির পুরো নাম ‘ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স এয়ার ব্লাস্ট বম্ব’ বা MOAB।
২। মাটিতে পড়ার ঠিক আগেই এই বোমাটি ফাটে। হাওয়ার চাপে গুঁড়িয়ে দেয় সুড়ঙ্গ থেকে শুরু করে মাটির নীচের কোনও নির্মাণ। বোমাটি যেখানে পড়ে, তার ১ মাইলের মধ্যে ধ্বংস করে দেয় সবকিছু।
৩। বোমাটির দৈর্ঘ্য ৩০ ফুট, ব্যাস ৪০ ইঞ্চির মতো, ওজন প্রায় ১০ হাজার কেজি এবং ১০ টনের বেশি বিস্ফোরক বহন করতে পারে।
৪। মোয়াবের মধ্যেই জিপিএস দিয়ে আগে থেকেই বোমাটির নিশানা ঠিক করে দেওয়া যায়। বোমাটি ফেলার জন্য প্যারাশ্যুট ব্যবহার করা হয়, যাতে ধীরে ধীরে হাওয়ার চাপ নিয়ে বোমাটি নিশানায় পৌঁছয়।
৫। ২০০৩ সালের ১১ মার্চ প্রথম বোমাটি তৈরি করে পরীক্ষা করা হয় ফ্লোরিডার এয়ারবেস-এ। বোমাটি বানাতে শুরু করার ৯ মাসের মধ্যেই এই পরীক্ষা হয়।
৬। ইরাক যুদ্ধের সময়ে ইরাকি সেনাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্যই মূলত এই বোমাটি বানানো হয়। তবে সেই সময়ে আর ব্যবহার করা হয়নি।
৭। মোয়াবের আগে স্তরের নন্-নিউক্লিয়ার বোমা ছিল আমেরিকার কাছেই। BLU-82 নামের এই বোমাটি ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল।
তথ্যসূত্র: মিলিটারি-টেক ও রয়টার্স