

পায়ের আলসার
‘সিকেল সেল’ ক্ষতিগ্রস্ত হলে পায়ে আলসার দেখা দেয়। সাধারণত পায়ের নিচের অংশে আলসার হতে পারে। ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে এ সমস্যা দেখা দেয়। আলসার সব সময় দারুণ যন্ত্রণাদায়ক। ‘সিকেল সেল ড্যামেজ’ এমন এক অবস্থা, সময়ের সঙ্গে যার অবনতি ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ জানায়, পায়ের আলসারের কারণ হতে পারে ট্রমা, সংক্রমণ, প্রদাহ কিংবা ক্ষুদ্র রক্তবাহী নালির ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থা। ব্যথা অসহনীয় পর্যায়ে গেলে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।
জুতার ভুল মাপ
আঁটসাঁট জুতা পরলে পায়ে ব্যথা হবেই। ফ্লিপ-ফ্লপ বা স্যান্ডেল বা স্নিকার্স, যা-ই পরেন না কেন, মাপজোখ এদিক-ওদিক হলেই ব্যথা থেকে মুক্তি নেই। এগুলো পরে হাঁটাচলা বা ব্যায়াম পায়ের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর। তাই কেনার সময় পায়ে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিন। জুতা পায়ে আরামের সঙ্গে লেগে থাকলেই তা ঠিক আছে বলে ধরে নিতে পারেন।
জড়সড় পায়ের পেশি
যদি সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় কিংবা পায়ের পাতায় ভর দিয়ে দেহটাকে একটু তোলার সময় যন্ত্রণা অনুভূত হয়, তো এর কারণ হতে পারে ‘ইলিয়োটিবিয়াল ব্যান্ড (আইটিবি) টাইটনেস’। হাঁটু থেকে একটু নিচে ঠিক উল্টো দিকের পেশির জড়তা এ অবস্থার জন্য দায়ী। প্রচণ্ড ব্যথায় কাবু হয়ে যাবেন। ম্যাসাজের মাধ্যমে এই পেশিতে স্থিতিস্থাপকতা আনতে হয়। সাধারণত ফোম-রোলার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
সিয়াটিকা
নিতম্বের ব্যথা বা বাতের কারণে পায়ে অসাড়তা আসতে পারে। দীর্ঘ সময় অসাড় ভাব থাকার কারণে ভারসাম্য রেখে হাঁটা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। এমনটা হলে তাকে কোমর বা নিচের অংশের বড় ধরনের সমস্যার লক্ষণ বলে বিবেচনা করতে পারেন। মানুষের জীবনযাপনকে যন্ত্রণাকাতর করে দিতে পারে সিয়াটিকা। দুই বা এক পায়ের সাধারণ শিরশিরে অনুভূতি থেকে শুরু করে পুরোদমে অসাড়তা এর লক্ষণ।
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা
এ কারণে সাধারণত ‘অ্যান্টেরিওর নি পেইন’ হয়। পায়ের সম্মুখ অংশে ব্যথা ছড়িয়ে যায়। এ অবস্থা ‘প্যাটেলার টেন্ডোনিটিস’ নামেও পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত মায়ো ক্লিনিক জানায়, পায়ের রগের ব্যথা বা অন্য সমস্যার কারণে এমন যন্ত্রণা হতে পারে। রগ একধরনের তন্তুময় নরম তারের মতো অংশ, যা হাড়ের সঙ্গে পেশিকে ধরে রাখে। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে পায়ের সংযোগস্থলের বাইরে বেদনা হয়। কাঁধ, কনুই, কবজিতেও একই সমস্যা বিচিত্র কিছু নয়।









