সমাজটাও কিন্তু আপনার কাছে ‘ফোবিয়া’ ভীতিকর হয়ে উঠতে পারে। অনেকেই ভাবে, লজ্জাবোধই ‘সোশ্যাল ফোবিয়ার’ কিংবা ‘সমাজভীতি’র একমাত্র লক্ষণ। অথচ সমাজকে নিয়ে ভীতি বা উদ্বেগ গড়ে ওঠা কেবল লজ্জাবোধেই সীমাবদ্ধ নয়। এটা আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে বিষাক্ত করে তোলে অনায়াসে। খেয়াল করে দেখুন, এসব বৈশিষ্ট্য আপনার মধ্যে রয়েছে কি না। থাকলে খুব সম্ভবত আপনি ফোবিয়ায় আক্রান্ত।
▶গুটিকয়েক সঙ্গী
গুটিকয়েক নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গেই চলতে পারেন আপনি। তাদের সান্নিধ্যেই আপনার চলাফেরা ও আচরণ প্রাণবন্ত থাকে। অপরিচিত কারো সামনে আপনি গুটিসুটি মেরে যান। এটা সোশ্যাল ফোবিয়ার লক্ষণ। অচেনা কারো সঙ্গে আপনি খাতির জমাতে পারেন না। এ কারণেই আপনার পরিচিতের গণ্ডি অতিক্ষুদ্র। অথচ জীবনে যত মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবেন ততই নিজেকে এগিয়ে নিতে পারবেন।
▶অস্বস্তিবোধ
সাধারণ মানুষের ভিড়ে আপনি অস্বস্তি বোধ করেন। মনে হয়, যেন কোনো বিচারের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন। অযথা দুশ্চিন্তা ও অজানা আশঙ্কা দানা বাঁধে মনে। সবাই আপনাকেই দেখছে আর কী যেন ভাবছে—এমনটাই মনে হতে থাকে আপনার। ছুটে দূরে কোথাও চলে যেতে ইচ্ছা হয়। সামাজিক উদ্বেগ কাজ করে তখন। কিন্তু যদি আপনি চারপাশের মানুষের দিকে দৃষ্টি দেন, দেখবেন যা ভাবছেন, তা নির্ভেজাল মিথ্যা। আপনি ভুল ভাবছেন।
▶আবোলতাবোল চিন্তা
কোথাও গেছেন তো বিভীষিকার মতো ভর করে বিভিন্ন ওল্টাপাল্টা চিন্তা। এমনিতেই মনে হতে থাকে নানা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির কথা। মনে হতে থাকে, আশপাশের মানুষগুলো আপনাকে নিয়ে হয়তো এমনই কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চলেছে। আর এসব নিয়ে মস্তিষ্ক ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এটি আপনার সোশ্যাল ফোবিয়ার লক্ষণ।
▶সাধারণ বিষয়ে জটিলতাবোধ
সাধারণ বিষয় নিয়ে জটিল ভাবনায় ডুবে পড়া আরেকটি লক্ষণ। কেউ আপনাকে নিয়ে কিছু বলল। আর তা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বিশ্লেষণ শুরু করলেন। তারা কেন বলল, কী বোঝাতে চাইল, কেনই বা বলল ইত্যাদি প্রশ্ন উঠতে থাকে আপনার মধ্যে।
▶ভীতি
সোশ্যাল ফোবিয়ায় আক্রান্তদের কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে ভীতি থাকে। যেমন, মানুষের মাঝে বক্তৃতা দিতে দারুণ ভয় তাদের। আবার কারো সামনে কিছু লিখতে অনেকের উদ্বেগ। অনেকে মানুষের মাঝে খেতেও পারে না। এমনকি ফোনে কথা বলতেও সমস্যা অনেকের।