কাজে-কর্মে উন্নতির জন্য স্মৃতিশক্তি ভালো হওয়াটা একান্তই জরুরি। ধরুন আপনি মনে রাখতে পারছেন না কোন কাজটা করেছেন, কোনটা করেননি। অথবা প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা দিয়েছেন কিনা আপনার হঠাৎ করেই মনে পড়ছে না। বাড়ি যাবেন, কিন্তু কাজ করতে করতে গাড়ির চাবিটা কোথায় রেখেছেন একেবারে খেয়াল আসছে না। এমন সব ঘটনা যদি আপনার সঙ্গে ঘটতে শুরু করে, তাহলে জীবনটা কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠবে একবার ভাবুন তো!
সুতরাং স্মৃতিশক্তি নামক হাতিয়ারটির খেয়াল রাখাটা একান্তই জরুরি। আর এমনটা করলে শুধু কর্মজীবনে উন্নতি ঘটবে না, সেই সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনও অনেক সহজ হয়ে যাবে।
কিন্তু কীভাবে বাড়াতে হয় স্মৃতিশক্তি? এ ক্ষেত্রে একটি ঘরোয়া ওষুধ আপনাকে সাহায্য করতে পারে। এই ওষুধটি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ফলে স্বাভাবিক ভাবেই স্মৃতিশক্তিও ভালো হতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মস্তিষ্ক নানা ঘটনাকে তথ্য হিসাবে জমা করে। এই তথ্যই হলো স্মৃতি। তাই তো পড়াশোনার ক্ষেত্রে, নতুন কিছু শিখতে, কাউকে চিনতে, এমনকি আমাদের স্বভাব কেমন হবে সে ক্ষেত্রেও স্মৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
স্মৃতিশক্তি তখনই ভালো হবে যখন মস্তিষ্কের কোষগুলির ক্ষমতা বাড়বে। আর এই কাজেই আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই লেখায় আলোচিত ঘরোয়া ওষুধটি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
১. তেজ পাতা : ৩-৪টি
২. অলিভ অয়েল : ১ চামচ
এই ঘরোয়া ওষুধটি নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যায়, শরীরচর্চার দিকে নজর দেওয়া যায় আর মস্তিষ্ককে যদি সব সময় কাজে লাগিয়ে রাখা যায়, তাহলে স্মৃতিশক্তি বাড়বেই। প্রসঙ্গত, তেজপাতায় এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপাটিজ রয়েছে, যা মস্তিষ্কে অক্সিজেনের যোগান ঠিক রাখে। ফলে স্মৃতির কার্যক্রমে উন্নতি ঘটে। অপরদিকে অলিভ অয়েল ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। এই উপাদানটি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তি ভালো করে।
ওষুধটি বানানোর প্রক্রিয়া :
১. পরিমাণমতো তেজ পাতা নিয়ে সেগুলি পিষে নিন। ততক্ষণ পর্যন্ত পিষবেন, যতক্ষণ না তেলের মতো একটি উপাদান পাচ্ছেন।
২. এবার তেজপাতা থেকে পাওয়া তেল জাতীয় তরলটি এক চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে মেশান।
৩. প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম জলের সঙ্গে এই ওষুধটি খান।
৪. টানা ২ মাস খেলেই দেখবেন স্মৃতিশক্তি ভালো হতে শুরু করে দিয়েছে।