স্বাভাবিকভাবে ঠাণ্ডা লাগলে তা এমনিতেই কয়েক দিন পর দূর হয়ে যায়। কিন্তু এটি কখনো কখনো বড় কোনো অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ প্রকাশ করা হলো এ লেখায়। এগুলো যদি মিলে যায় তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চার দিনের বেশি ঠাণ্ডা
স্বাভাবিকভাবে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা চার দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু আপনার যদি চার দিনের বেশি অসুস্থতা থাকে তাহলে রোগটি জটিল হয়ে ওঠার লক্ষণ প্রকাশ পায়। এ ক্ষেত্রে আপনাকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অসুস্থতা ফিরে আসা
একবার অসুস্থ হওয়ার পর আপনি যদি আবার সেই রোগে আক্রান্ত হন তাহলে তা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। এ ক্ষেত্রে এটি হতে পারে ‘সুপারইনফেকশন’। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই উত্তম।
ভ্রমণের পর ঠাণ্ডাজনিত অসুস্থতা
আপনি যদি বড় কোনো ভ্রমণের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে বিষয়টি হালকাভাবে দেখা উচিত হবে না। কারণ আপনি যে বড় কোনো রোগে আক্রান্ত হননি, এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই ভ্রমণপরবর্তী অসুস্থতায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
উচ্চ জ্বর
সাধারণ ঠাণ্ডা লাগলে উচ্চমাত্রায় জ্বর হওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু আপনার যদি উচ্চমাত্রায় জ্বর দেখা যায়, তাহলে বিষয়টি হেলাফেলা করবেন না। বিশেষ করে শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি অতিক্রম করলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
পেটের সমস্যা
ঠাণ্ডার সঙ্গে পেটের সমস্যা বড় সমস্যার ইঙ্গিত করে। এ ছাড়া থাকতে পারে বমি ও ডায়রিয়া। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রচণ্ড মাথা ব্যথা
ঠাণ্ডাজনিত সমস্যার সঙ্গে যদি সামান্য মাথা ব্যথা হয় তাহলেও তা নিজে থেকে ঠিক হতে পারে। কিন্তু মাথা ব্যথা যদি অতিরিক্ত হয় এবং মাথার পাশাপাশি গলা কিংবা ঘাড়ে ব্যথা হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
বুকে ব্যথা কিংবা শ্বাসকষ্ট
ঠাণ্ডার সঙ্গে বুকে ব্যথা কিংবা শ্বাসকষ্ট অস্বাভাবিক বিষয়। এটি উপেক্ষা করা উচিত হবে না।