শরীর সুস্থ রাখতে অন্যান্য উপাদানের মতো আয়রন ও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আয়রনের অভাবে শরীরে রক্তস্বল্পতা হয়। ক্লান্তি ভাব, মাথাব্যথা, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, অবসন্নতা, ফ্যাকাশে চামড়া, ভঙ্গুর চুল, শ্বাসকষ্ট, ঘুমের অসুবিধা ইত্যাদি আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ।
• আসুন জেনে নেওয়া যাক আয়রনের উপকারিতা এবং এর উৎস...
উপকারিতা
আয়রন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক গুণ বৃদ্ধি করে। শরীরের রক্ত চলাচল প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে হিমোগ্লোবিন। আর রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে আয়রন। গর্ভবতী মা ও শিশুর সুস্থতার জন্য আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উৎস
যারা আমিষ খায় না, তারা বেশি আয়রনের স্বল্পতায় ভুগে থাকে। এর জন্য খাদ্যে আয়রনের পরিমাণটা সঠিক হওয়া চাই। মাছ, মাংস, প্রাণীজ খাবার থেকে শরীর খুব সহজে আয়রন গ্রহণ করতে পারে। আয়রনের উৎসগুলো হচ্ছে...
* মাছ, গরুর মাংস।
* ডিম।
* কলিজা।
* বিভিন্ন ধরনের ডাল। যেমন- মসুর, সয়াবিন ডাল।
* শুকনা ফল- খেজুঁর, ডুমুর, কিশমিশ।
* নানা ধরনের সামুদ্রিক মাছ। (চিড়িং মাছ বাদে)
* অঙ্কুরিত ছোলা।
* মটরশুঁটি, টমেটো, পালংশাক, কচু শাকে প্রচুর আয়রন রয়েছে।
টিপস
* মাংসে মটরশুঁটি দিতে পারেন।
* সবজিতে মটরশুঁটি, তিল ব্যবহার করতে পারেন।
* গরুর মাংস বা কলিজা খাওয়ার আগে লেবু চিপে নিন। এতে আয়রনের ইনটেক বেড়ে যাবে, খেতেও ভালো লাগবে।
সতর্কতা
অনেক বেশি আয়রন আবার শরীরের জন্য ভালো নয়। বেশি আয়রনে হৃদরোগ, লিভার ড্যামেজ সহ নানা ক্ষতি হতে পারে। ১৯ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীদের প্রতিদিন প্রায় ১৮ মিলিগ্রাম আয়রন খাওয়া উচিত, আর গর্ভকালীন দরকার প্রতিদিন অন্তত ২৫ মিলিগ্রাম। তবে পুরুষদের প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ মিলিগ্রাম আয়রন গ্রহণ করলেই চলে।