হায়দ্রাবাদের এই ক্ষীর সাধারণত পরিবেশন করা হয় বড় কোনো অনুষ্ঠান বা বিয়েবাড়িতে। সাধারণ কিছু উপাদানে তা আপনিও তৈরি করতে পারেন সহজেই। এটি রান্নায় ব্যবহার হয় সুগন্ধি চাল, সাবুদানা, বিভিন্ন রকমের বাদাম, জাফরান এবং গোলাপজল। বিশেষ কোন উপলক্ষে বিশেষ খাবার তৈরি করতে হবে? তাহলে এই রেসিপি আপনার জন্য পারফেক্ট!
উপকরণ
- আধা কাপ বাসমতি চাল
- সোয়া দুই কাপ দুধ
- এক চিমটি জাফরান
- আধা চা চামচ উষ্ণ দুধ
- ১ টেবিল চামচ ঘি
- সিকি কাপ কাঠবাদাম কুচি
- পৌনে এক কাপ লাউ গ্রেট করা (রান্নার ঠিক আগে গ্রেট করে নেবেন)
- সিকি কাপ সাবুদানা ( পানিতে ভিজিয়ে রাখা)
- ৩ টেবিল চামচ কাজুবাদাম বাটা
- পৌনে এক কাপ কনডেন্সড মিল্ক
- সিকি চা চামচ এলাচ গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
- ১ চা চামচ গোলাপ জল
প্রণালী
১) জাফরান এবং উষ্ণ দুধ একটি বাটিতে মিশিয়ে নিন।
২) বাসমতি চাল ১০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানি ঝরিয়ে নিন। কাপড়ের ওপর শুকিয়ে নিন ৩০ মিনিট। এরপর হামানদিস্তায় ভেঙ্গে নিন।
৩) একটি নন-স্টিক ফ্রাইপ্যানে ঘি গরম করে নিন। এতে কাঠবাদাম দিয়ে ৩ মিনিট মাঝারি আঁচে সাঁতলে নিন। সোনালি হয়ে এলে কিচেন টাওয়েলে ঘি ঝরিয়ে নিন।
৪) ঐ একই ঘিতে দিয়ে দিন গ্রেট করা লাউ। ২ মিনিট মাঝারি আঁচে সাঁতলে নিন। এরপর ১ কাপ পানি দিন। মিশিয়ে সেদ্ধ হতে দিন ১০ মিনিট। মাঝে মাঝে নাড়ুন। নরম হয়ে এলে নামিয়ে রাখুন।
৫) একটি বড় নন-স্টিক সসপ্যানে দুধ, সাবু, চাল দিয়ে ভালো করে মেশান এবং মাঝারি আঁচে রান্না করুন ১০ মিনিট। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। ১০ মিনিট পর আঁচ কমিয়ে আরও ২ মিনিট রান্না করুন।
৬) এরপর এতে লাউ সেদ্ধ দিয়ে দিন। মিশিয়ে রান্না করুন আরও ২ মিনিট। এরপর এতে জাফরানের মিশ্রণ, কাজুবাদাম বাটা, কনডেন্সড মিল্ক, এলাচ গুঁড়ো এবং ভ্যানিলা এসেন্স দিন। মিশিয়ে নিয়ে আরও ২ মিনিট রান্না হতে দিন।
৭) আঁচ বন্ধ করে এতে গোলাপ জলটুকু দিয়ে মিশিয়ে নিন। কক্ষ তাপমাত্রায় ঠাণ্ডা হতে দিন।
৩০ মিনিট ফ্রিজে রাখুন। এরপর বের করে ওপরে কাঠবাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশ করুন সুস্বাদু ও চোখ জুড়ানো এই ক্ষীর।