শীতের মৌসুমি ফলের মধ্যে কমলালেবু অন্যতম। এর গুণাগুণ ও বহুমাত্রিক। আসুন জেনে নেই এর কিছু গুণ। এর গুণ জানলে আমাদের খাদ্য তালিকায় এর স্থান ও হবে মজবুত।
* আমাদের শরীরের জন্য যে পরিমাণ ভিটামিন সি এর প্রয়োজন, ১টা কমলালেবু তার প্রায় পুরোটাই সরবরাহ করতে পারে।
* প্রতিদিন ডায়েটে ১ গ্লাস কমলালেবুর জুস উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল লেভেলে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
* কমলালেবুতে আছে বিটা-ক্যারোটিন, ফলে সেল ড্যামেজ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
* ফলিক অ্যাসিড ব্রেন ডেভেলেপমেন্টের জন্য উপকারী। কমলাতে ফলিক অ্যাসিড যথেষ্ট পরিমাণে আছে।
* প্রচুর ক্যালসিয়াম আছে কমলাতে। যা দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে।
* কমলাতে থাকা ভিটামিন বি৬ হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে।
* যথেষ্ট পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকার কারণে কমলার জুস ওজন কমাতে সাহায্য করে।
* কিউনিতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট স্টোন ফরমেশনের ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে কমলার রস।
* ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
* নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। শীতকালে প্রতিদিন বাচ্চাদের তাই একটা করে কমলা খেতে দিন।
* ঠান্ডাজনিত সমস্যায় কমলার জুস উপকারি।
* পলিফেনল নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভাইরাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
* পেপটিক আলসার প্রতিরোধেও কমলালেবু সাহায্য করে।
* কমলাতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক সজীব রাখে।
* এক গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, কমলালেবুতে উপস্থিত লিমিনয়েড মুখ, ত্বক, লাং, পাকস্থলী, কোলন ও ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
সতর্কতা :
অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। কমলালেবু ও অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। বেশি পরিমাণে সাইট্রাস জুস গ্রহণের ফলে শরীর থেকে ক্যালসিয়াম বেড়িয়ে যেতে পারে। কমলার রস বেশি খেলে গলায় মিউকাস বিল্ড আপ করতে পারে।