১. প্রতিশোধ নিজের ক্ষতি করে
যারা আপনাকে আঘাত করেছে তাদেরকে আঘাত করার আকাঙ্খাটা প্রাকৃতিক স্বভাবগত। হাজার বছর ধরে মানব প্রজাতির বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় এটি আরো জোরালো হয়েছে।.কিন্তু আধুনিক দুনিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্যের জগতে এই আকাঙ্খার বিরুদ্ধে লড়াই করাটাই শ্রেয়।
প্রতিশোধ নেওয়ার দুটি শুধু দুটি যৌক্তিক পরিণতিই আছে। হয় এটি কোনো বাজে পরিস্থিতিকে আরো দ্রুত বাজে করে তোলে। অার নয়তো পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত এবং ক্ষতিকর উপায়ে প্রতিঘাত হানে।
২. আপনার সমস্যা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়না
কথাটি শুনে হয়তো কর্কশ মনে হতে পারে। কিন্তু সত্য হলো একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনি যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন সে ব্যাপারে কেউই মাথা ঘামান না। সম্ভাব্য অংশীদার, গণমাধ্যম সূত্র এবং বাজার কাউরই আপনার রাগ বা ক্ষোভ নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় বা আকাঙ্খা কোনোটাই নেই।
এর পরিবর্তে উদ্যোক্তাদের বিচার করা হয় তাদের তৎপরতা দিয়ে। ব্যবসার জগতে আগুনের বিরুদ্ধে আগুন দিয়ে লড়াই করাটা নির্বুদ্ধিতা, অপরিপক্কতার পরিচয় বহন করে। যা চুড়ান্ত বিচারে ক্ষতিকর বলেই প্রমাণিত হয়।
৩. একটি গল্পের সবসময়ই নানা পার্শ্ব গল্প থাকে
বুদ্ধিবৃত্তিক সততা মূল্যবান সম্পদ। আয়নায় নিজের চেহারাটাও দেখতে পারা এবং নিজের দোষ-ত্রুটি ও দূর্বলতাগুলো শনাক্ত করতে পারাটাও অমুল্য দক্ষতা।
আপনি হয়তো কারো সঙ্গে লেন-দেন করে ঠকতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি এর প্রতিশোধ নিতে যান তাহলে আপনার পরিস্থিতি আরো জটিল থেকে জটিলতর হবে। তারচেয়ে বরং তাদেরকে ভূল করেছে ভেবে করুণা প্রদর্শণ করুন।
৪. জীবনের কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়
আর করুণা প্রদর্শনের সবশেষ এবং সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণটি হলো জীবনের একটি অদ্ভুত অভ্যাস রয়েছে চক্র পূর্ণ করার। লোকে বদলায়, পরিপক্কতা অর্জন করে এবং সময়ের পরিক্রমায় বিবর্তিত হয়। আর যিনি আজ শত্রু তিনি হয়তো কালকে বন্ধুতেও পরিণত হতে পারেন।
আপনি যখন শত্রুর প্রতি করুণা প্রদর্শন করবেন তা আপনার শত্রুর মনেও আপনার ব্যাপারে ইতিবাচক ছাপ ফেলবে। এই ছাপ হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যাবে না কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় তা আরো গভীরে প্রোথিত হবে এবং তা থেকে আরো বিস্ময়কর সব ফলাফল বেরিয়ে আসবে।
আর সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনি ইতিবাচক কোনো ফল লাভ করেন আর নাইবা করেন আপনার উচিৎ সবসময়ই নিজের আদর্শ এবং মূল্যবোধগুলোর লালন করা।