হাসি, আনন্দ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে চাইলে নিজেকে সময় দেওয়া প্রয়োজন।
জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভারতের এমটিলেক্সেস রিসার্চ’য়ের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা সালোনি মার্দিয়া কোথারি’র এক সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায় সুন্দরভাবে জীবন ধারণের কয়েকটি পন্থা।
কর্মজীবনকে নিজের মতো পরিচালনা করুন: নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে যেমন কাজে ভারসাম্য বজায় রাখাতে হয় তেমনি কাজের জায়গা থেকে বের হয়ে কাজের দিকে নয় বরং ব্যক্তিগত জীবনে মনযোগ দেওয়া উচিত। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে এবং তা নিজেকে উৎসর্গ করার মাধ্যমে ভারসাম্য বজায় রাখা যায়।
সুস্থ থাকা: সালোনি বলেন, "আমি 'ফিটনেস ফ্রিক' নই কিন্তু আমি বিশ্বাস করি সুস্থ থাকাটা জরুরি।"
প্রতিদিন শরীরচর্চা করলে এবং রান্নাঘরে কী রান্না করা হচ্ছে তার দিকে মনযোগ দিয়েও নিজেকে 'ফিট' অর্থাৎ সুস্থ সবল রাখা যায়। যদিও স্বামী ভোজনরসিক হলে খাবারে ডায়েট করা বেশ ঝামেলাদায়ক। তারপরও যতটা সম্ভব পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।
আনন্দে সময় কাটানো: উৎসবের মৌসুম সবারই খুব পছন্দ। এইসময় বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো তাদের সঙ্গে আনন্দ করা সবাইকেই বেশ হাসিখুশি রাখে। তাছাড়া আত্নীয়-স্বজনরা চারপাশে থাকলে আনন্দ লাগে, মনে প্রশান্তি অনুভূত হয়।
ঝুঁকি গ্রহণ ও পরিকল্পনা করা: ঝুঁকি গ্রহণ ও পরিকল্পনা করার বিষয়টি পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। সালোনি ভালো পরিকল্পনায় বিশ্বাসী। লক্ষ্য নির্ধারণ করে এবং তা অর্জনের জন্য তিনি নানাবিধ পদক্ষেপ বা ঝুঁকি গ্রহণ করে থাকেন।
আত্নিক খাদ্য: প্রতিদিন সকালে যোগ ব্যায়াম এবং গভীর ধ্যান সারাদিন সুন্দরভাবে কাটাতে সাহায্য করে। বেঁচে থাকতে, হাসতে এবং ভালবাসতে নিজেকে সময় দিন। আধ্যাত্নিক শান্তির জন্য ভালোভাবে থাকা ও ঠিক কাজ করার পরামর্শ দেন সেলোনি।
সফলতা ও ব্যর্থতা মেনে নেওয়া: প্রতিটা ব্যর্থতার পেছনে একটি শিক্ষণীয় বিষয় এবং সফলতার পেছনে থাকে আনন্দ যা যে কোন বাঁধা অতিক্রম করতে সাহায্য করে। সব কিছুর পরে এগিয়ে যাওয়াটাই হল মূল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: সবসময় শান্ত থাকুন । পরিস্থিতি মুল্যায়ণ করুন এবং যে কোন বিষয়েরই মূল কারণের দিকে মনোযোগ দিন। সমস্যা সমাধানে দ্রুত চিন্তা করুন ও টেকসই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করুন।
অবসাদ দূর করতে: কোন কাজের পূর্ব-পরিকল্পনা করে রাখা ভালো এবং সেই অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হওয়া উচিত। যে কোন জরুরি কাজের জন্য যথেষ্ঠ সময় হাতে রাখা উচিত বলে মনে করেন তিনি।