পুরুষের শুক্রাণু হ্রাস এখন একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এ সমস্যার কারণে প্রায়ই সন্তান গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আধুনিক জীবনযাপনের কিছু সমস্যা অত্যন্ত বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু বদভ্যাস, যা শুক্রাণু উৎপাদন কমে যাওয়ার জন্য কিংবা শুক্রাণু নষ্ট করার জন্য দায়ী। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
১. রাত জাগা
রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শুক্রাণু উৎপাদন কমে যেতে পারে। এ বদভ্যাসটি দেখা যাচ্ছে বহু মানুষের ক্ষেত্রেই। দেরি করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ফলে রাতে ঘুমের সময় কমে আসে। আর এ কারণে শুক্রাণু উৎপাদন কমে যায়। গবেষকরা জানান, ছয় ঘণ্টারও কম ঘুমানোর ফলে ৩১ শতাংশ পর্যন্ত শুক্রাণু উৎপাদন কমে যেতে পারে।
২. ভুল সামগ্রী ব্যবহার
অনেকেই যৌনতার ক্ষেত্রে ভুল সামগ্রী ব্যবহার করেন, যা শুক্রাণুকে মেরে ফেলে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো লুব। এ জিনিসটি ব্যবহার করা যেতে পারে আপনি যদি সন্তান না চান তাহলে। এতে থাকা এসিড শুক্রাণুকে মেরে ফেলতে পারে।
৩. মাছ না খাওয়া
মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডসহ অত্যাবশ্যকীয় কিছু উপাদান। এগুলো সুস্বাস্থের জন্য যেমন প্রয়োজনীয় তেমন শুক্রাণু উৎপাদনেও সহায়ক। আপনি যদি মাছ না খান তাহলে শুক্রাণু কমে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে।
৪. মানসিক চাপ
মানসিক চাপ আমাদের যে কতধরনের ক্ষতি করে তা অনেকেই জানেন না। এটি দেহের হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। এছাড়া আপনার দেহের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াও এতে তৈরি হয়। ফলে সার্বিকভাবে শুক্রাণু উৎপাদন কমে যায়।
৫. প্যান্টের পকেটে স্মার্টফোন
স্মার্টফোন থেকে নির্গত রেডিয়েশন শুক্রাণুর ক্ষতি করে। আর এ ক্ষতির বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে সাম্প্রতিক এক ব্রিটিশ গবেষণায়। গবেষকরা ১০টি গবেষণার ফলাফল একত্রিত করে একটি রিভিউও করেছেন। এতে গবেষকরা জানিয়েীছেন স্মার্টফোনের রেডিয়েশনের ফলে দেহের সংশ্লিষ্ট অংশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এতে শুক্রাণু উৎপাদনে সমস্যা হয়।
৬. অতিরিক্ত মদ্যপান
যাদের মদ্যপানে আসক্তি রয়েছে তাদের এখনই সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। কেননা গবেষকরা জানিয়েছেন অতিরিক্ত মদ্যপানে শুক্রাণু উৎপাদন কমে যায়। আর এতে তাদের বাবা হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।