‘সিক্রেটস অব দ্য মিলিয়নেয়ার মাইন্ড’ বইয়ে টি হার্ভ ইকার লিখেছেন, সফলতা একটা দক্ষতা, যেটা শিখতে হয়। তাই নতুন বছরে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে আপনি কিছু বিষয় শিখতেই পারেন -
১. সফলদের সান্নিধ্য
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনীদের একজন হয়ে ওঠার আগে কিছুই ছিল না অ্যানড্রু কার্নেগির। তিনি ‘মাস্টার মাইন্ড’ তত্ত্বকেই সফলতার রহস্য বলে মনে করেন। তাঁর মতে, প্রতিভাবান ও সফল মানুষদের চারপাশে থাকতে হবে। এতে আপনি তাঁদের কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন। যাঁরা আপনার চেয়ে সফল, তাঁদের সঙ্গ আপনাকে অনেক কিছু দিতে পারে।
২. বিনিয়োগ
পয়সা কাজে লাগাতে হবে। সফল হওয়ার অন্যতম উপায় হলো, উপার্জন করা অর্থ আবারও সঠিক স্থানে বিনিয়োগ করা। জীবনযাপনের পর যে অর্থ থাকবে, তা সঠিক স্থানে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে হবে। আরেকটি উপায় হলো, সঞ্চয়ের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকার মালিক হতে পারবেন।
৩. পার্ট টাইম চাকরি
একটি পার্ট টাইম চাকরি করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি আরো পরিশ্রমী হয়ে উঠবেন। চাকরি বা ব্যবসা যাই করেন না কেন, এর ফাঁকে নতুন কোনো কাজ থেকে বাড়তি আয় করা সম্ভব। সেটা শখের কোনো কাজও হতে পারে।
৪. বই পড়া
বই পড়ার হারানো অভ্যাস ফিরিয়ে আনুন। বিশ্বের সব সফলতম ব্যক্তিরা নতুন কিছুু শেখার সুযোগ হারাতে চান না। তাই তাঁরা বই পড়েন। সুযোগ পেলে নয়, একটা নির্দিষ্ট সময় নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
৫. পছন্দ-অপছন্দ
অস্বস্তিকর বিষয় সবাই এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু এগুলো করার অভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে। নইলে বাধা পেরোবেন কিভাবে? তাই যেসব কাজ ভালো লাগে না, সেসবে জড়িয়ে পড়ুন। এখান থেকে বাস্তবিক শিক্ষা মিলবে। বাধা টপকানো শিখবেন।
৬. লক্ষ্য নির্ধারণ
এর সঙ্গে নতুন একটা বিষয় যোগ করুন। লক্ষ্য কিভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে, তা কল্পনায় দেখার চেষ্টা করুন। চিন্তাটা বাস্তবিক হতে হবে। লক্ষ্য ও চিন্তার সামঞ্জস্যতা স্থাপন করতে হবে। পরিকল্পনার ভুল থাকলে তা কল্পনায় শনাক্ত হতে পারে।
- বিজনেস ইনসাইডার