হিজড়া সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। এবার সেই কৌতূহল আরো এক ধাপ বেড়ে গেল ভারতের উত্তর প্রদেশের এক ঘটনা থেকে। শুধু কৌতূহল নয়, হিজড়াদের নিয়ে তৈরি হয়েছে ভয়ও। কারণ, দেশটি উত্তর প্রদেশের এক যুবকের দাবি, হিজড়াদের সঙ্গে রাত্রিযাপনের ফলে বদলে গেছে তার লিঙ্গ। একটি রাত্রির মধ্যে তার পুরুষাঙ্গটিই নাকি উধাও হয়ে গেছে।
উত্তর প্রদেশের ফাররুখাবাদের চিলাঙ্কা এলাকার বাসিন্দা মহেশ চন্দ্র। অনেকদিন থেকেই হিজড়াদের সঙ্গে তার মেলামেশা ছিল, ছিল ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বও। হিজড়াদের সঙ্গে বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচগান করে রোজগার করতেন বছর পচিশের মহেশের। তার অভিযোগ, গত ২৫ নভেম্বর তিনি কম্পিল নামের এক হিজড়ের সঙ্গে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠান মিটে যাওয়ার পরে ২৭ তারিখ তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়েই সিপি মোড় এলাকায় রামকলি নামের এক পূর্বপরিচিত হিজড়ার সঙ্গে তার দেখা হয়।
রামকলি প্রেমনগর এলাকার বাসিন্দা। রামকলি মহেশকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র দেওয়ার নাম করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে দুজনে খাওয়াদাওয়া করেন। মহেশের অভিযোগ, এই খাবারেই কিছু নেশার দ্রব্য মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। খাবার পরেই মহেশ বেঁহুশ হয়ে যান। হুঁশ ফেরে একেবারে সকালে। সজ্ঞান অবস্থায় নিজের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে যান মহেশ।
জ্ঞান ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই মহেশ টের পান তার গোপনাঙ্গে প্রবল যন্ত্রণা। তারপরেই বুঝতে পারেন, অজ্ঞান অবস্থায় কী মারাত্মক ঘটনা ঘটে গেছে তার সঙ্গে। তিনি দেখেন, তার পুরুষাঙ্গটিই উধাও হয়ে গেছে।
মহেশ জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনার পরে রামকলি ও তার সঙ্গীরা তাকে আটক করে রাখে। রোজ এক মুখোশধারী ডাক্তার এসে তার গোপনাঙ্গের ক্ষত ড্রেসিং করে দিয়ে যেত। তাতে শরীরের উন্নতি হওয়ার পরিবর্তে দিন দিন মহেশের ক্ষতস্থানের অবনতি হতে থাকে।
প্রায় দুসপ্তাহ হিজড়াদের কাছে বন্দি থাকার পরে শেষমেশ ১৩ ডিসেম্বর কোনোমতে পালাতে সক্ষম হন মহেশ। বাড়িতে পৌঁছে বাড়ির লোকদের পুরো ঘটনা জানান। তারপরেই মহেশের বাবা বির্জু চন্দ্র কোতোয়ালি থানায় রামকলির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। বির্জু মনে করছেন, তার ছেলের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়ে হিজড়া বানাতে চেয়েছিল রামকলি ও তার সঙ্গীসাথীরা।
এসপি সুভাষ বহেল সংবাদমাধ্যমকে জানান, পুলিশ পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। মহেশের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলেই পুলিশ তদন্ত শুরু করবে।