দুপুর ১২ টা লাঞ্চ করতে বেরোল তা'সিন। অফিসে এসেছে সেই সকাল ৮ টায়। পেটে তার প্রচন্ড খিদা। অফিসের আশেপাশে ভালো হোটেল নেই তাই সে একটা রিক্সা ধরল। একটা হোটেল দেখে রিক্সা থামালো হোটেল নুরজাহানের সামনে।
হোটেল নুরজাহান তার ফেভারিট। আজ কেমন যেন ফাকাফাকা সেই হোটেল টা। এই হোটেলের ই ওয়েটার রিপন। তা'সিন আসলে এই রিপন ই স্যার স্যার বলে তাকে খাবার সার্ভ করে। আজ ও আসলো। রিপন জানে তার স্যারের ফেভারিট তেলাপিয়া মাছের ভুনা ও টাকি মাছের ভর্তা। যথারিতি খাবার খেলো তা'সিন,,,
-রিপন কি খবর তুমার?
-যে স্যার ভালই, স্যার আরেকটু ঝোল এনে দেবো??
-হুম এনে দাও।
-স্যার আনতেসি।
খাবার খেয়ে রিপন কে ১০ টাকা টিপস দিয়ে ম্যানেজারের কাছে গেলো। বিল এসেছে ১২০। ৫০০ টাকার একটা কচকচে নোট। ক্যান যেন দিতে ইচ্ছা করছেনা। বিল পে করে রিক্সা নিয়ে অফিসের দিকে ছুটলো তাসিন। হটাত একটা জটলায় সে সজিব ও হাসান কে দেখতে পেলো চোখেমুখে কান্না। সজিব ও হাসান 'হোটেল নুর জাহানের' ই ওয়েটার। রিক্সা থামিয়ে একটু এগিয়ে যেতে ই তাসিন দেখলো তারা কান্না করছে সামনে একটি কফিন।
- হাসান কি হয়েছে রে??? কার লাশ!!!
- স্যার ওই যে রিপন ছিল না। ও আর নেই।
- নেই মানে একটু আগেও তো,,,,
-স্যার ও গতকাল সন্ধ্যায় এক্সিডেন্ট এ মারা গেছে,,,
-আমি অবাক!!!
রিক্সা নিয়ে আবার ছুটলাম 'হোটেল নুরজাহানের' দিকে। গিয়ে দেখি হোটেল বন্ধ। আজ নাকি খুলেই নি। মানিব্যাগ বের করে রিক্সা কে ভাড়া দিতে গিয়ে দেখি সেই চকচক করা ৫০০ টাকার নোট যা আমি ম্যানেজার কে দিয়েছিলাম।
কানের মধ্যে এখন একটা কথাই বাজছে,,
" স্যার! আরেকটু ঝোল এনে দিবো"
লেখকঃ আলভি