আবার গ্লাসটাকে ঢাকনি দিয়ে ঢাকো। গ্লাস তুলো। হায় হায় এখন আবার কয়েনটা কোথা থেকে এলো? ম্যাজিকটি তো তুমিই করলে, তাও বুঝতে পারছো না কীভাবে হলো? তাহলে চলো সবাই মিলে বুঝেই নেই কীভাবে এই অদ্ভুত ঘটনাটা ঘটলো।
ম্যাজিক শেখার আগে যেটা জানা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে, ম্যাজিক বলে সত্যি সত্যি কিছু নেই। ম্যাজিক বলতে আমরা যেটা দেখি সেটি হচ্ছে চোখের ভ্রম বা illution। এই ভ্রম তৈরি করাটাই হচ্ছে ম্যাজিশিয়ানের কাজ। তাহলে চলো এই কয়েন গায়েব করার ম্যাজিকের ভ্রমটা আমরা শিখে নেই।
যা যা লাগবে—
১। A4 সাইজের একই রঙের দুইটি কাগজ
২। কাচি
৩। আঠা
৪। কলম
৫। কাগজ বা কাপড়ের সম্পূর্ণ গ্লাস আড়াল করার মতো একটি ঢাকনি
৬। কয়েন
যেভাবে করবো—
১। একটা A4 সাইজের কাগজকে যেখানে ম্যাজিক দেখাবো সেই টেবিলে রাখবো।
২। ২য় A4 কাগজটি দিয়ে গ্লাসের মুখটার সমান করে একটা বৃত্ত এঁকে কাটবো। এবার এই বৃত্তাকৃতির কাগজটি দিয়ে গ্লাসের মুখটা শক্ত করে আটকে দিবো। শক্ত করে আটকানোর জন্য আঠা ব্যবহার করতে পারো। গ্লাসের মুখে যদি কোনো বাড়তি কাগজ থেকে থাকে তবে কেটে মাপমতো করে নিবে।
আমরা তো গ্লাসের মুখ এঁটে দিলাম, এবার কয়েন কীভাবে ভিতরে যাবে বলো তো? এখানেই কিন্তু ম্যাজিকের কৌশলের মূল বিষয়টি। আমরা কয়েনটিকে আসলে গ্লাসের ভিতরে ঢুকাবোই না। সামনের ধাপগুলো বললে বিষয়টি তোমাদের কাছে পরিষ্কার হবে।
৩। এখন গ্লাসটিকে একটা কাগজ বা কাপড়ের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ফেলবো। এবার ঢাকা অবস্থায়, গ্লাসটি দিয়ে কয়েনটিকে চাপা দিবো। কাজটি খুব দ্রুত করতে হবে। গ্লাসটিকে উঁচু করে না এনে, একটু সাইড করে টান দিয়ে আনবো যেন দর্শক নিচের কাগজের অস্তিত্ব টের না পায়।
৪। এখন গ্লাসের ঢাকনিটি খুলবো। গ্লাসের ভিতর একদম ফাঁকা। এখানে কোনোই কয়েন নেই। থাকবেই বা কীভাবে? কয়েন তো গ্লাসের মুখে লাগানো কাগজের নিচে।
যেহেতু ম্যাজিকটি যে তলে দেখানো হচ্ছে সেই তলের কাগজ আর গ্লাসের মুখে আটকানো কাগজ একই ধরণের এবং রঙের। তাই গ্লাসের ভিতরে যে কাগজ লাগানো আছে এটা বুঝা সহজ না। দর্শকের এই না বুঝার সুযোগটাই আমরা নিবো এবং একটা ভ্রম তৈরি করবো।
৫। আবার গ্লাসটিকে উপরের ঢাকনিটি দিয়ে গ্লাসটিকে আড়াল করে ফেলি এবং কয়েনের উপর থেকে গ্লাসটি সরিয়ে দেখাই যে কয়েন ফিরে এসেছে।
মজার না ম্যাজিকটি? ভেবে দেখো ম্যাজিকটি কিন্তু বেশ সহজও। আমরা আগে ধরতে পারিনি। কিন্তু একটু ভেঙ্গে দিতেই আমরা বুঝে ফেললাম জিনিসটা সহজ। এখন আমাদের দর্শকও কিন্তু একটু ভেঙ্গে ভাবতে পারলে বুঝে যাবে আমরা কীভাবে এই ম্যাজিকটি করেছি। তাই পুরো ম্যাজিকটি খুব দ্রুত হাতে দক্ষতার সঙ্গে করতে হবে। এর জন্য আমাদের অনেক প্র্যাকটিস করতে হয়। বার বার প্রাকটিস করার পরে আমরা খুব কনফিডেন্সের সঙ্গে কয়েনকে নিয়ে খেলতে পারবো আর সবাই আমাদের ম্যাজিক দেখে হতবাক হয়ে যাবে।