ফুটবল সমর্থকদের জন্য খবরটা বড় ধাক্কাই বটে। সাবেক ব্রাজিল সুপারস্টার রবিনহো ধর্ষণের দায়ে ৯ বছর জেলের সাজা শুনেছেন! ২০১৩ সালে আলবেলিয়ান এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগে এই শাস্তি হয়েছে তার। যদিও এই ঘটনায় আদালত এবং সোশ্যাল সাইটে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার। এই শাস্তির বিরুদ্ধে দুটি আপিলের সুযোগ আছে রবিনহোর। তবে ব্রাজিলে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে এক ডিসকো বারে এক আলবেনিয়ান নারীকে মদ খাইয়ে রবিনহো এবং ৫ ব্রাজিলিয়ান মিলে গণধর্ষণ করেন। সেই নির্যাতিতা নারী এরপর আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রবিনহো ইতালিতে না ফিরলেও মামলা চালিয়ে গেছেন মিলানের আদালত।
তবে রবিনহোর বাকি পাঁচ সঙ্গীর ব্যাপারে এখনো কোনো তথ্য না পাওয়ায় এখনো তাদের বিচার কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী, অন্য কোনো দেশ বিচারের জন্য কোনো ব্রাজিলিয়ানকে নিয়ে যেতে পারে না। ফলে রবিনহো যদি ব্রাজিলের বাইরে যায়, তখনই শুধু গ্রেপ্তার হবেন।
জেলের সাজা ঘোষণার পাশাপাশি মিলানের আদালত ভুক্তভোগীকে ৬০ হাজার ইউরো দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলা চলাকালীন সময়ে আদালতে কখনই হাজির হননি রবিনহো। তবে আইনজীবীদের মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
এবার শাস্তি ঘোষণার পর সোশ্যাল সাইট ইনস্টাগ্রামে নিজেকে আবার নির্দোষ দাবি করেছেন তিনি। রবিনহোর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, সব ধরনের অভিযোগের বিরুদ্ধেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে রবিনহো। সে এ ঘটনায় অংশ নেয়নি। এবিষয়ে সবরকম আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, সান্তোসের একাডেমিতে আলো ছড়ানো রবিনহো এক সময় পরিচিত হয়েছিলেন ‘নতুন পেলে’ নামে। নেইমারের আবির্ভাবের আগ পর্যন্ত একাডেমির বিংশ শতাব্দীর সেরা প্রতিভা ভাবা হতো তাকে। ১৯ বছর বয়সে রিয়ালে এসে ৩ বছর পরেই ম্যানচেস্টার সিটিতে চলে যান।
২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এসি মিলানে খেলেছেন। ৩৩ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান এখন অ্যাথলেটিকো মিনেইরো জার্সিতে খেলেন। মিলানে খেলার সময়ই নাকি এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটান তিনি। মামলার রায় হওয়ার পর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে নিজ দেশ ব্রাজিলে আছেন রবিনহো। - জুমবাংলা