মেয়ে: আমি তোমাকে ভালবাসি।
ছেলে: আমি ভালবাসি না ।
মেয়ে: কেনো ? কি সমস্যা আমার ?
ছেলে: তুমি আমার সাথে রুম ডেট না করলে আমি তোমাকে ভালবেসে কি করবো ?
মেয়ে:- তুমি কি আমার দেহকে ভালবাসো শুধু?
ছেলে: এইটা কি বলতে হয় !! আমার বুন্ধরা তাদের gf কে নিয়ে কত মজা করে ! আর তুমি কি কর ? আমাকে তোমার কাছেই আসতে দাও না তাই বলে ভালবাসি!!
মেয়ে: আমি তোমাকে বিশ্বাস করি । আমি জানি তুমি আমার সাথে এই রকম আচরণ করতে পার না । শান্ত হও please.
ছেলে:- চুপ করো একদম ।আমাকে শান্তনা দিতে হবে না । তুমি আমার সামনে থেকে চলে যাও ।
মেয়েটি অশ্রু ভেজা চোখে চুপ হয়ে
ছেলেটির কাছে থেকে চলে গেল । কিন্তু
মেয়েটির মনের মধ্যে বার বার জাগ্রত
হচ্ছিল ছেলেটির পরিবর্তন হওয়ার কথা ।
যে ছেলেটি কখন এই সব কথা বলতো না
সে ছেলে আজ কেনো এই সব কথা বলে ।
সে কান্না করতে করতে কথাগুলো ভাবতে
ভাবতে বাড়ি চলে গেল,,,তারপর আর
ছেলেটি তাকে কল করেনি,, মেয়েটি রাগে
তার বাবা কে বললো বাবা আমাকে বিয়ে
দিয়ে দাও,,,তার বাবা একটু অবাক হলো
কারন যে মেয়ে বিয়ের কথা শুনতে পারতো
না সে আজ নিজেই বলতেছে,, বাবা তো
খুশি হয়ে বিয়ে ঠিক করলো,,খুব তারাতারি
বিয়েও হয়ে গেল,,
এক দিন ছেলেটার সাথে
মেয়েটার রাস্তায় দেখা হল মেয়েটাকে সে
জিজ্ঞাসা করলো কেমন আছে??? মেয়েটা
বললো সে খুব ভাল আছে,,,আর তাকে
যেনো সে আর কোনো দিন নাম ধরে না
ডাকে,, তাকে সে অপমান করলো,,
ছেলেটা কিছু না বলে চলে গেল,,মেয়েটা
আসলে এখনও ছেলেটা কে ভালবাসে
কিন্তু ছেলেটার আচরন তাকে আজ
বদলে দিয়েছে,,,মেয়েটা প্রায় রাতেই তার
জন্য কান্না করে,,,,,ছেলেটা তার বিয়েতে
অনেক সাহায্য করেছে,,বিয়েটা নিজের
চোখের সামনে করাইছে,,ছেলেটা চায়
মেয়েটা ভাল থাকুক,,কিছু দিন মেয়েটা
বাহির থেকে বাড়ি ফেরার পথে আবার
দেখা হলো,, ছেলেটা বললো প্লিজ কিছু
বলো না,, তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা
করতেছে তাই আসলাম,,,মেয়েটা আজো
তাকে অপমান করলো,,,শেষের কথা গুলা
কানে বাজতে লাগলো,, তোমাকে ছাড়া
আমি খুব ভাল আছি,,, আমার বরও
আমাকে খুব ভালবাসে,, এর পর যদি
তোমাকে আমার ধারে কাছে দেখি
তাহলে তোমাকে জুতা পেটা করবো
এইটা তার মনের কথা না থাকলেও
মুখে বলেছে,,ছেলেটার চোখে পানি
আসলেও চাপায় রাখছে,,,,
মেয়েটা বাড়ি আসার সাথে সাথে একটি
চিঠি পড়ে থাকতে দেখে ।মেয়েটি চিঠিটা
নিয়ে দারোয়ান মামাকে প্রশ্ন করে এই
চিঠিটা এখানে পরে আছে ।এই চিঠিটা
কার ?
দারোয়ান: আপা, আমি তো জানি
না ।কিন্তু একটি লম্বা করে ছেলে ,চুল গুলো
বড় বড় ঐ ছেলে এসে চিঠিটা দিয়েছে ।
মেয়েটি কথাগুলো শুনে অবাক হয় । কারণ
সেই ছেলেটি হলো তার ভালবাসার মানুষ।
যে ছেলেটি তাকে অনেক অপমানের সহিত
তার স্বপ্ন, বিশ্বাসগুলো ভেঙ্গে দিছে।কথাগুলো
ভাবতে ভাবতে মেয়েটি চিঠিটা খুলল:
প্রিয়তমা ,তোমার সাথে আমার শেষ দেখা ।
শেষ কথা ।সময় গুলো এত তাড়াতাড়ি চলে
গেল আমি ভাবতে পারিনি তবুও তোমাকে
সত্যি কথাটি বলতে পারিনি । কিন্তু আজ
আমাকে বলতে হবে । আমি ছয় মাস আগে
জানতে পেরেছিলাম আমার "Brain Tumor
কিন্তু তোমার কাছে কথাটি লুকিয়ে রাখি
কারণ আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি ।
আমাদের প্রথম ভালবাসা শুরু হয়ছিল চিঠি
দিয়ে । আজও চিঠি দিয়ে শেষ করে দিলাম
ভালবাসা, স্বপ্নগুলো । আমি তোমাকে অনেক
আপমান করছি আমাকে মাফ করে দিও
পাগলি ।আমি চেয়েছিলাম তুমি ভাল থেকো,
তুমি বিয়ে করো,,,.এই পাগলি তুমি কিন্তু
একদম কাঁদাবে না । আমি তো তোমার মাঝে
আছি । যখন আমার কথা খুব মনে পড়বে
চলে এসো আমাদের সেই পরিচিত জায়গায়
যেখানে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল ।
আমার সময় শেষ
পাগলি । তোমাকে আমি ঘৃণা করতে
শিখালাম । কারণ তুমি যদি আমাকে
ভালবাসতে আমি থাকতে পারতাম না
পাগলি । তুমি ভালো থেকো ।আমি চলি---------------------
তখন মেয়েটা বুঝলো আসলে ছেলেটা তাকে
খুশি দেখতে চাইছিল তাই ঐ সব করছিল,,
সে তখন ই তার সাথে দেখা করতে গেল,,
কারন চিঠির শেষ এ একটা ঠিকানা দেওয়া ছিল
যে তোমার কোলে আমি আমার শেষ শ্বাস
ত্যাগ করতে চাই,, ছেলেটা বললো অনেক
আশা ছিল তোমাকে নিয়ে,,তোমাকে আমার
বউ বানাবো,,, তোমার সাথে অনেক ভালবাসার
সময় কাটাবো,, কিন্তু আমাকে দেখ আজ এই
দুনিয়া ছেড়ে যেতে হচ্ছে,,,আমি কি অপরাধ
করেছি জানি না,, তবে এত বড় শাস্তি কেন
আমাকে দিল,,, কত আশা ছিল তোমার কোলে
একটা সুন্দর মেয়ে থাকবে,, কান্না করতে করতে
আরো বললো যে দেখ তুমি আমাকে ছাড়া ভাল থাকতে শিখে গেছ,,,,কিন্তু আমি তোমাকে মনে
করেই দিন কাটিয়েছি,,, জান, আমাকে তুমি ঐ
সব কথা বলার পর খুব কষ্ট পাইছিলাম কিন্তু,,,
মেয়েটি কান্না করতেছে,, কিছু বলে না,,মেয়েটি
ভাবতেছে আমার ভালোর জন্য এত কিছু করলো আর সে কি না,, ছেলেটি বললো আসলে
কি তুমি আমাকে ছাড়া ভাল আছো???
আবার বললো আচ্ছা তুমি আমাকে কতটুকু
ভালবাস??? মেয়েটি কিছু বলার আগে ই
ছেলেটার প্রান পাখি উড়ে গেল,, মেয়েটি
চিৎকার করে বলতে চেয়েও বলতে পারল না,,
যে সে কতটা ভাল তাকে বাসে, সত্যিই প্রকৃত
ভালবাসা এমনই হয়.......,,, ভালোবাসা যা
দেয় তার চেয়েও বেশি কেড়ে নেয় ।।