১০ বছর আগে রহস্যজনক কাশি শুরু হয়েছিল জেন বিচাম নামে এক নারীর। তার সে কাশি থামছিলই না। সে কাশি যেনতেন কাশি ছিল না।
ক্রমাগত তাকে কাশতে এবং গলা পরিষ্কার করতে হত। এতে তার যেমন অসুবিধা হত তেমন আশপাশের মানুষেরও অসুবিধা হত। ঘুমের সমস্যার কারণে আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ভ্রমণ করা তার শখ হলেও তা আর করতে পারছিলেন না।
এক দশক আগে কাশি যখন শুরু হয় তখন জেন নামে সে নারী চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। প্রথমে বক্ষব্যাধী বিশেষজ্ঞকে দেখান।
এরপর নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ। এরপর আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞকে দেখানো হয়। কিন্তু কাশির সঠিক কারণ কেউ নির্ণয় করতে পারেনি।
চিকিৎসকরা বলেন, জেনের মারাত্মক শ্বাসকষ্ট হয়েছে। আর এজন্যই তিনি এমন কাশি দিচ্ছেন।
যদিও জেন তাদের পরামর্শ মেনে বহু ধরনের ইনহেলার ও অন্যান্য ওষুধ সেবন করেও কোনো উন্নতি পাননি।
ফলে কাশি চলতেই থাকে জেনের। কেটে যায় ১০ বছর। এখন তার বয়স ৭২। এ সময় হঠাৎ তিনি অনলাইনে অনুসন্ধান করে একজন বিশিষ্ট গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজিস্টের সন্ধান পান।
ড. জেফরি ক্যামিয়ান জেনকে পরীক্ষা করেই বুঝতে পারেন, এটি সবাই যে সমস্যা ভাবছে, তা নয়। আর তাই তিনি সব ওষুধ বন্ধ করতে বলেন। কারণ সমস্যাটি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
বেশ কিছু পরীক্ষা করে ড. জেফরি নিশ্চিত হন যে, সমস্যাটি ‘সাইলেন্ট হার্টবার্ন’ বা নিরব অম্বল। আর এ সমস্যাটি থেকেই তার ক্রমাগত কাশি হচ্ছে। যা গত ১০ বছর তাকে একটুও শান্তিতে থাকতে দেয়নি।
ড. জেফরি জানান, বিশেষ একটি সমস্যার কারণে পেটের এসিড তার পাকস্থলি থেকে গলায় চলে আসে। আর এতেই গলায় অস্বস্তি ও কাশি হয়।
এরপর তিনি তার সেই অ্যাসিডের চিকিৎসা করেন। দুই মাস চিকিৎসার পর জেন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান।