মাতৃ গর্ভে থাকার সময়েই স্ক্যান করে তার শরীরে কিছু অস্বাভাবিকতা দেখেছিলেন চিকিত্সকরা। ৯ দিন পর শিশুটির জন্মের পর দেখা গেল তার পেটে রয়েছে আরও একটি শিশু।
গত ২০ জুলাই ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্ব্রার বিলাল হাসপাতাল সাক্ষী থেকেছে এই ঘটনার।
হাসপাতালের রেডিওলজিস্ট ভাবনা থোরাট জানিয়েছেন, ৭ সেন্টিমিটার ওই ভ্রুণের মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ গঠিত হয়ে গিয়েছিল।
তৈরি হয়ে গিয়েছিল হাত, পা। ১৯ বছরের মা পুত্রসন্তানের জন্ম দেওয়ার পরই শিশুর অস্ত্রোপচার করে ভ্রুণটিকে বের করা হয়।
টুইন প্রেগন্যান্সির এই বিরল ঘটনাকে বলা হয় ‘ফিটাস ইন ফেটু’।
ভাবনা বলেন, সারা বিশ্বে এই ঘটনা দুশোয় একটা দেখা যায়। জন্মের পর স্ক্যান করে আমি ভ্রুণের হাত, পা দেখতে পেয়েছিলাম। দেখতে পেয়েছিলাম মাথার খুলিও। প্যারাসাইটিক টুইনের ক্ষেত্রে খুলি তৈরি হয় না।
‘ডেইলি মেল’-র ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এরপরই শিশুটিকে থানের টাইটান হাসাপাতালে পাঠানো হয় অস্ত্রোপচারের জন্য। সেখানে অস্ত্রোপচার করে ১৫০ গ্রামের ভ্রুণটিকে বের করেন নীনা নিচলানি।
নিচলানি জানান, এটা মনোজাইগোটিক টুইন প্রেগন্যান্সির ঘটনা। মায়ের শরীরে দু’টি ভ্রুণ তৈরি হয়েছিল। যমজ শিশুর এ ক্ষেত্রে একটিই প্লাসেন্টা থাকে। একটি ভ্রুণ অন্যটিকে ঘিরে ফেলে এবং পুষ্টিও শুষে নেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দু’টি ভ্রুণেরই মৃত্যু হতে পারে। এই ঘটনাকে ফিটাস ইন দ্য ফেটু বলা হয়।