বাংলায় উচ্চারণ করতে গেলে থাইল্যান্ড নিবাসী উক্ত নারীর নাম ‘ফানারাত চাইবুন’। বয়স ৪২ এর কাছাকাছি। নিত্য দিনের মতোই শৌচকার্য করতে কমোড ব্যবহার করছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ তিনি তার পশ্চাতে ব্যথা অনুভব করেন। কমোড থেকে উঠে যা দেখলেন তিনি, তাতে সামলে নিতে পারলেন না নিজেকে! একটি পাইথন মাথা বের করে আছে সেখানে! আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করতে করতে বাইরে বের হয়ে আসেন ফানারাত।
শারীরিক ও মানসিকভাবে আহত হওয়ার কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফানারাত এতটাই আতঙ্কিত হয়েছিলেন যে- ডাক্তারদের সব ঘটনা খুলে বলার মতো অবস্থা ছিল না তার। যা হোক, পরবর্তীতে ফানারাতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে।
উল্লেখ্য, পাইথনের কামড় বিষাক্ত না হলেও ব্যাকটেরিয়ায় ঠাসা। সংক্রমণ এড়াতে তাকে কিছু ওষুধ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তার শারীরিক অবস্থা এখন ভালোই বলা চলে। কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ নয়, তার বাড়ি থেকে সাপের আনাগোনা দূর হয়নি এখনও। বাড়িতে ঢোকার মুখে সিঁড়ির কাছে আবারও সাপ দেখতে পায় ফানারতের ১৫ বছর বয়সী মেয়ে। থাই পুলিশ ধারণা করছে- তার বাড়ির নিচে কোনো একটি গহ্বর রয়েছে, যেখানে সাপের বসবাস রয়েছে।