নীরব ঘাতক রোগ হিসেবে পরিচিত উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। কারণ অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের কোনো প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায় না। নীরবে এই রোগ শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ওপর স্বল্প থেকে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে স্ট্রোক, হৃদক্রিয়া বন্ধ, চোখের ক্ষতি এবং বৃক্কের বিকলতা ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
অনিয়ন্ত্রিত ও চিকিৎসাবিহীন উচ্চ রক্তচাপ থেকে মারাত্মক এসব শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেহেতু অনেক সময় এই রোগের রোগীর বেলায় কোনো লক্ষণ থাকে না, তাই এটি অদৃশ্য রোগ হিসেবেই থেকে যায়।
তবে উচ্চ রক্তচাপ যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে কিছু লক্ষণ হতে পারে: অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বুক ব্যাথা, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট, কানের মধ্যে অদ্ভূত শব্দ, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, প্রস্রাবে রক্ত।
এসবের কোনো লক্ষণ যদি আপনার শরীরে দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। নিয়মিত ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমেও আপনি আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন।
রক্তচাপ কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
* মাঝারি ব্যায়াম
* লবণ খাওয়া বাদ দেওয়া
* স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস
* কম চর্বির দুগ্ধজাত খাবার
* বাদাম, শস্য, মাছ এবং পোল্ট্রি
* টাটকা সবজি এবং ফল
* উচ্চ চর্বি এবং উচ্চ কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার থেকে বিরত থাকা।
তবে উচ্চ রক্তচাপ মোকাবেলায় ওষুধের পাশাপাশি আপনার জন্য উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
উচ্চ রক্তচাপের কারণ
উচ্চ রক্তচাপের কোনো নির্দিষ্ট কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু বিষয় উচ্চ রক্তচাপের আশংকা বাড়ায়। যেমন : বংশগতভাবে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, ধূমপান, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ, অলস জীবনযাপন, অতিরিক্ত ওজন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান ও মদ্যপান, অতিরিক্ত টেনশন, ডায়াবেটিস। এছাড়া কিডনি রোগ, ধমনির বংশগত রোগসহ কিছু রোগের কারণেও উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে।