দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর কিংবা কাজের পর এমন খাবারের প্রয়োজন পড়ে যা তাৎক্ষনিকভাবে শরীরের পুষ্টিচাহিদা পুরণ করতে পারে এবং দ্রুত শক্তি যোগাতে পারে। খাদ্য ও পুষ্টিবিশেষজ্ঞরা এরকম কয়েকটি খাবারের কথা বলে থাকেন, আসুন জেনে নেয়া যাক:
ডিম
প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদার ৩০ শতাংশ পূরণ করতে পারে ডিম। এছাড়াও রয়েছে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী অ্যামিনো অ্যাসিড যা শরীরের পেশি গঠনে সহায়তা করে।
মিষ্টি আলু
মিস্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকায় এ খাবারটি দ্রুত শরীরে পুষ্টি যোগাতে পারে।
দই
সকালের নাস্তায় অনেকে দই খেয়ে থাকেন। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকায় দীর্ঘসময় ধরে শরীরে পুষ্টি যোগায়।
পুঁইশাক
পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় দ্রুত শারিরিক ক্লান্তি দুর করে পুঁইশাক।ক্লান্তিতে বা কাজের পরে খাবারের সাথে পুঁইশাক খেলে দ্রুত পুষ্টিচাহিদা পুরণ করে।
কলা
শর্করা ও আঁশের সঠিক মিশ্রণ থাকে কলায়। কলা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সারাদিন পর একটি মাঝারি আকারের কলা শরীরে পুষ্টি ও শক্তি যোগায় খুব দ্রুত। তাই কাজের ফাঁকে বা কাজের পর একটি কলা খেয়ে নেবার রীতি অনেকেই মেনে চলেন।
মধু
মধুতেও রয়েছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট। তাই দ্রুত শরীরের পুষ্টিচাহিদা পুরণ করে মধু। অনেকে চায়ের সাথেও মধু পান করে থাকেন।
কাঠবাদাম
বিভিন্নরকমের বাদামের পুষ্টিগুণ অনন্য। শরীরে পুষ্টি যোগাতেও বাদাম বেশ কার্যকর। কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং দ্রুত শক্তি যোগায়।
বীজজাতীয় খাবার
বীজজাতীয় খাবারগুলোতে থাকে প্রচুর ভেষজ প্রোটিন। মাংসের পাশাপাশি শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে এ ধরনের খাবার খুব কাজ করে। যেমন: মটরশুঁটি, ডাল, বাদাম ইত্যাদি।
সূত্র: বোল্ড স্কাই