

মুখের স্বাদ ফেরানো থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য থেকে নিয়ে চুলের যত্ন- কোথায় নেই আমলকী। প্রথমে একটু তিতকুটে স্বাদ, কিন্তু খেতে নিলে একটু পরেই টের পাবেন এর মিষ্টতা। জ্বরের রোগীদের মুখের স্বাদ ফেরাতে আমলকীর জুড়ি নেই। ভিটামিন সিতে ভরপুর এই ফলটিতে রয়েছে বেশকিছু পুষ্টিগুণ। চলুন জেনে নেই-
আমলকীতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। তাই কৃত্রিম ভাবে তৈরী ভিটামিন সি এর ট্যাবলেটের পরিবর্তে একটি করে আমলকী খেলে তা ওই ট্যাবলেটের থেকে ভালো কাজ করবে।
প্রতিদিন এক টুকরো আমলকী খাওয়ার ফলে কোষ্ঠবদ্ধ দূর হয়। তবে আমলকী পাউডার কিংবা জ্যুস খেলে হবে না; এক টুকরো খেতে হবে।
গলার ক্ষত অর্থাৎ গ্রীবার উপরিভাগে ক্ষত হলে, গলা ব্যথা বেশি বেড়ে গেলে আমলা ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায় দুই চা চামচ আমলকীর পাউডার কে দুই চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে দিনে ৩/৪ বার খেলেই ব্যথা সেরে যাবে।
মুখের ভিতর ঘা দিয়ে ভরে যাচ্ছে? এই সমস্যার জন্য আমলকী সবচেয়ে ভালো। আমলকীর রস আধ গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে সেটা দিয়ে গার্গল করলে ঘা কমে যায়।
আমলকী চোখের জন্য অনেক উপকারী। আধা কাপ পানির সাথে দুই টেবিল চামচ আমলকীর জ্যুস মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়ার ফলে চোখের পানি পরা, চোখ লালচে হয়ে যাওয়া এগুলো রোধ পায়।
দীর্ঘ দীর্ঘ রাত জেগে কাটানো হয়। কোনো কাজ নেই তবু ঘুম আসেনা। বিছানায় এপাশ ওপাশ ফিরলেও না। যাকে আমরা বলি ইনোসমোনিয়া। আর এটি দূর করতেও আমলকীর জুড়ি নেই। ঘুমানোর আগে এটি খেলে এটি ইনোসমোনিয়া দূর করে।
অধিক কোলেস্টেরল ফলে হার্ট এটাক, স্ট্রোক হয়ে থাকে। তাই রাতে ঘুমানোর পূর্বে এক গ্লাস পানির সাথে ৫০০ গ্রাম আমলকী পাউডার মিশিয়ে খেলে কোলেস্টেরল কমে।









