বাচ্চারা দুষ্টুমি করবে স্বাভাবিক, কিন্তু বাচ্চাকে সামলানোর দায়িত্ব আপনারই। এজন্য বাচ্চাকে একটি নির্দিষ্ট রুটিনের মধ্যে পরিচালনা করুন। তাহলে আপনাকে কম ঝামেলা পোহাতে হবে।
একটি রুটিন আপনার বাচ্চাকে শৃঙ্খল রাখবে। তবে রুটিনে ফেলে দেয়ার আগে বাবুর ভালো লাগার দিকগুলোকেও আপনার দেখতে হবে।
চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ৫-১১ বছরের বাচ্চাদের দৈনিক রুটিন-
• সকালের বাতাস শরীরও মনের জন্য খুব ভালো। তাই সকাল ৬ টার মধ্য়ে বাচ্চাকে ঘুম থেকে জাগাবেন। মনে রাখবেন বাচ্চার ঘুম যেন কম না হয়, তাই রাতে খেয়াল করে তাকে তাড়াতাড়ি শুইয়ে দেবেন।
• ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চার দাঁত মাজানোর অভ্যাস করাবেন। মুখ না ধুলে কী কী হতে পারে সেই সম্পর্কে বাচ্চাকে বোঝাবেন।
• বাচ্চার নাস্তায় ডিম, সবজি এবং রুটি রাখতে পারেন।
• এবার স্কুলে যাওয়ার পালা। সময়মতো বাচ্চাকে স্কুলে যাওয়া আসার অভ্যাস করান। টিফিনের বিষয়ে তাগিদ দিন।
• দুপুর বেলায় বাচ্চাকে গোসল করিয়ে দিন। তাকে বলুন পরিষ্কার না থাকলে কি কি হতে পারে।
• দুপুর ২ টার মধ্য়ে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিন বাচ্চাকে। তারপর ঘুমাতে পাঠান।
• বাচ্চাকে খেলাধুলো করার সময় দিন। অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে মিশলে আপনার বাচ্চা সামাজিক হবে। সুন্দর জীবনের জন্য় যা খুবই দরকারি।
• রাতে বাচ্চার ঘুমাতে যাওয়ার আগে তাকে কিছুটা সময় বই নিয়ে বসান। বই পড়ার অভ্য়াস করাটা খুব জরুরি।
• আর হ্যাঁ, রাত ৯ টার আগে বাচ্চাকে ঘুম পাড়িয়ে দিন।