গাজরের নানা ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায়। কিন্তু এসব রেসিপির পাশাপাশি আরেকটি সুস্বাদু পানীয় হলো গাজরের জুস। এটি যেমন উপকারি তেমন পুষ্টিকর।
▶উপকারিতা
গাজরের জুস শরীরে ভিটামিন এ, বি ভিটামিন ও ভিটামিন এ সরবরাহ করে। এছাড়া গাজরের জুসে মিনারেল ও আছে। চোখ, হাড়, লিভার, দাত ও নখের জন্য গাজরের জুস অত্যন্ত উপকারী।
ত্বক মসৃণ করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো করে। ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এছাড়া গাজরের জুস শরীরের ওজন কমাতে সহায়ক বলে মনে করেন অনেকে।
▶পুষ্টিগুণ
একটি বড়মাপের গাজরে আছে ২২ ক্যালোরি। এছাড়াও গাজরে আছে কার্বোহাইড্রেড, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, আয়রণ।
▶যা যা লাগবে
গাজরের এক গ্লাস জুস বানাতে লাগবে একটি গাজর ও আধা গ্লাস ঠাণ্ডা পানি। গাজর প্রাকৃতিক ভাবেই মিষ্টি। তাই এই জুস বানাতে চিনির প্রয়োজন হয় না। কেউ যদি বেশি মিষ্টি খেতে চান তাহলে ১ চা চামচ চিনি দিতে পারেন।
▶যেভাবে বানাবেন
১. গাজর ভালোভাবে ধুয়ে কুচি করে কেটে নিন
২. পানি, চিনি(যদি লাগে) ও কুচি করা গাজর এক সাথে ভালো করে ব্লেন্ড করুন।
৩. ছাঁকনি দিয়ে ছেকে গাজরের পাল্প গুলো আলাদা করে ফেলুন।
৪. গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন ঠান্ডা ঠান্ডা গাজরের জুস।
ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি অক্সিডেন্টসহ বিভিন্ন উপাদানে সমৃদ্ধ গাজরকে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর একটি সবজি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
সকালের নাস্তার মেনুতে গাজরের জুস খেতে পারেন। তাহলে সারাদিন সতেজ থাকবেন ও পুষ্টি পাবেন। গাজরের জুস দেখতে বেশ সুন্দর। তাই পরিবেশনের সময় স্বচ্ছ গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন।