

সর্দি, কাশি, জ্বর— যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে বুঝতে হবে এসব সাধারণ ‘ঠাণ্ডা’ লাগা নয়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, অনেক সময় গুরুতর রোগের উপসর্গ হিসেবেও সর্দি-কাশি লাগতে পারে যা অবহেলা করা মোটেই উচিত হবে না। আর এসব বোঝার জন্য রয়েছে কিছু নির্দেশনা।
উপসর্গ ৫ দিনের বেশি সময় ধরে থাকা: সাধারণ সর্দি-কাশি চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই সেরে যায়। এজন্য পর্যাপ্ত পানি পান ও বিশ্রামই যথেষ্ট। তবে সমস্যা পাঁচ দিনের বেশি দীর্ঘস্থায়ী হলে তা ‘ফ্লু’ বা ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা’র উপসর্গ হতে পারে। তাই এই অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
একই সমস্যা ফিরে আসা: সমস্যাগুলো সেরে উঠেছিল অনেকটাই, তবে হুট করেই যেন পুরোদমে ফিরে এল। এ থেকে বুঝতে হবে শরীর সাধারণ সর্দি-কাশির চেয়ে বেশি মারাত্বক রোগের সঙ্গে লড়ছে এবং পরাজিত হচ্ছে।
ভ্রমণের পর অসুস্থতা: দেশের বাইরে থেকে ঘুরে আসার পর প্রচণ্ড অসুস্থতার বিষয়ে চিকিৎসকরা সবসময় সাবধান করছেন। তাই এমন সন্দেহ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পেটের সমস্যা: সাধারণ সর্দি-কাশির সঙ্গে বমি কিংবা বমিভাব, ডায়রিয়া ইত্যাদি সমস্যা হয় না। তাই একই সঙ্গে দুই সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে।
বুকেব্যথা কিংবা নিঃশ্বাসের সমস্যা: ঠাণ্ডার সঙ্গে যদি বুকে অস্বস্তি দেখা দেয়, যা এতটাই তীব্র যে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তবে একে অবহেলা করা উচিত হবে না। নিজেই ডাক্তারি করা যাবে না। কারণ এটা হতে পারে ব্রঙ্কাইটিস কিংবা ফুসফুসের রক্তনালী বন্ধ হওয়ার লক্ষণ।
শরীরের নির্দিষ্ট স্থানে সমস্যা: সব সমস্যা যদি মাথা, কান ইত্যাদি নির্দিষ্ট অংশে হয় তবে তা সাধারণ সর্দি-কাশি নয় বরং বড় কোনো রোগের লক্ষণ হতে পারে। ঠাণ্ডা লাগলে শ্বাসযন্ত্রের উপরের অংশে উপসর্গগুলো দেখা দেয়। তবে লক্ষণ যদি একটি নির্দিষ্ট বা বিশেষ স্থানে হয় তবে ভিন্ন কোনো রোগ হতে পারে।
কয়েকদিন ধরে জ্বর: ইঙ্গিত করে যে শরীর সর্দির চাইতে মারাত্বক কোনো সমস্যার সঙ্গে লড়ছে। তাই নিজেই সেরে যাবে, এরকম আশা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
মাথাব্যথা: তীব্র মাথাব্যথা কখনই অবহেলা করা যাবে না। এর পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে গভীর কোনো সমস্যা। তাই বড় রোগের হাত থেকে বাঁচতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।









