ভ্যালেন্টাইনস ডে কি কেবল জুটিদের জন্য? সঙ্গীহীনদের কি কিছুই করার নেই? সঙ্গীহীন বা একাকী ব্যক্তিদের জন্য দিনটি তাই হতাশার বা অপছন্দের। যাঁরা ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে পালনের বিরোধী, তাঁদের জন্যও আছে বিকল্প ব্যবস্থা।
জেনে নিন ভ্যালেন্টাইনস ডের বিকল্প কয়েকটি কর্মসূচি:
সিঙ্গেলস অ্যাওয়ারনেস ডে
১. সিঙ্গেলস অ্যাওয়ারনেস ডে: যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যালেন্টাইনস ডের বিরুদ্ধে একই দিন অর্থাৎ ১৪ কিংবা ১৫ ফেব্রুয়ারি পালন করা হয় সিঙ্গেলস অ্যাওয়ারনেস ডে। একে সংক্ষেপে বলে এসএডি বা স্যাড ডে। যাঁরা সঙ্গীহীন বা একাকী, তাঁরা দিনটিকে নানাভাবে উদ্যাপন করেন। জুটিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজেদের সঙ্গীহীন অবস্থানকে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করেন। একাকী থাকার গুরুত্ব তাঁরা প্রচার করেন ওই দিন।
বন্ধু দিবস
২. ফ্রেন্ডশিপ ডে: ফিনল্যান্ডে ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন করা হয় অনেকটাই প্লেটোনিক উপায়ে। ১৪ ফেব্রুয়ারি সেখানে মূলত ফ্রেন্ডশিপ ডে। বন্ধু বা ভালোবাসার মানুষটিকে বন্ধুত্বের গভীর বন্ধনে বাঁধার দিন হিসেবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করা হয় সেখানে। যাঁরা ভ্যালেন্টাইনস ডের বিরোধী, তাঁরা দিনটিকে বন্ধু দিবস হিসেবে পালন করতে পারেন।
ব্ল্যাক ডে
৩. ব্ল্যাক ডে: ঠিক ১৪ ফেব্রুয়ারি নয়, দিবসটি ১৪ এপ্রিল। কোরিয়াতে ব্ল্যাক ডে বা কালো দিবস। যাঁরা ভ্যালেন্টাইনস ডের বিরোধী, তাঁরা পালন করতে পারেন এই ব্ল্যাক ডে। এ দিবসটিতে সঙ্গীহীন ব্যক্তিরা স্থানীয় রেস্তোরাঁয় যান এবং সেখানে সুস্বাদু জাজাংমিয়ন নামে একধরনের নুডলস খান। এই নুডলসের ওপরে কালো শিমের সস ও সবজি দেওয়া হয়। গত কয়েক বছরে একাকী ব্যক্তিদের কাছে এই কালো দিবসটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
সিঙ্গেলস ডে
৪. সিঙ্গেলস ডে: ১১ নভেম্বর চীনে সিঙ্গেলস ডে পালন করা হয়। ১৯৯০ সালে ভ্যালেন্টাইনস ডে প্রতিরোধ দিবস হিসেবে অনানুষ্ঠানিক ছুটির দিন হিসেবে এটি পালন করা হয়। এ দিনটিতে সঙ্গীর চিন্তা না করে নিজের জন্য নানা উপহার কিনতে দেখা যায়। ২০১৩ সালে চীনের বড় অনলাইন শপিং কোম্পানি থেকে সিঙ্গেলস ডেতে প্রচুর কেনাকাটা হয়।
আন্তর্জাতিক কুইর্কিঅ্যালোন ডে
৫. আন্তর্জাতিক কুইর্কিঅ্যালোন ডে: নিজেকে ভালোবাসুন—এ মন্ত্রে ১৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় আন্তর্জাতিক কুইর্কিঅ্যালোন ডে। এই দিবসটি উদ্যাপনের জন্য বিশেষ ওয়েবসাইটও আছে। এই ইভেন্টের প্রতিষ্ঠাতা দিবসটি উদ্যাপন সম্পর্কে বলেন, এটা ঠিক ভ্যালেন্টাইনস ডে বিরোধী কর্মসূচি নয় বরং সব ধরনের ভালোবাসাকে উদ্যাপনের দিবস। এর মধ্যে রোমান্টিক, প্লেটোনিক, পারিবারিক ও নিজেকে ভালোবাসার বিষয়টিও আছে। অর্থাৎ এদিনে যা মন চায়, তা-ই আপনি করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: হাফিংটন পোস্ট।