গুটিগুটি পায়ে হাঁটতে চলা থেকে শুরু করে বড় হওয়া পর্যন্ত সন্তানের সব খবর রাখেন বাবা-মা। শুধুমাত্র তারাই বোঝেন সন্তানদের লালন-পালন করা কতো কঠিন কাজ।
আর সন্তান যদি লাজুক প্রকৃতির হয় তাহলে তো এই কাজটা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।তাই বলে চিন্তার কোনও কারণ নেই!
বিশেষজ্ঞদের মতে, লাজুক বা অন্তর্মুখী হওয়া কোনও চারিত্রিক দোষ নয়। বরং এটা এক ধরনের ব্যক্তিত্ব। আর এমন চরিত্রের শিশুরা সামাজিক হতে চান না। পরিবর্তে নিজেদের সঙ্গে সময় কাটাতেই বেশি পছন্দ করে।
সহজ কথায় বললে, নিজ চিন্তার মধ্যেই এরা নিজের বন্ধু খুঁজে পায়। ফলে একাকিত্ব দূর করতে আর কাউকে প্রয়োজনই হয় না। তাই বলে লাজুক শিশুর একবারেই কোনও বন্ধু থাকে না, এমনটা নয়। তবে সংখ্যাটা একটু কম থাকে।
বিশেষজ্ঞরা লাজুক সত্নানদের বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। নিম্নে তা আলোচনা করা হলো :
* বাবা-মা হিসাবে প্রথমেই আপনাদের বুঝতে হবে যে লাজুক হওয়াটা কোনও অস্বাভাবিক বিষয় নয়। অন্য শিশুর মতো আপনার সন্তানও স্বাভাবিক। তাই সে কথা কম বলছে বলে আকারণ চিন্তা করবেন না।
* এটা আপনার সন্তানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট। চাইলে চিকিৎসার মাধ্যমে স্বভাবের পরিবর্তন করা সম্ভব, এমনটা ভেবে নেবেন না। কারণ এটা করা হিতে বিপরীত হতে পারে।
* জোর করে শিশুকে সামাজিক হতে বাধ্য করবেন না। এমনটা করলে আপনার বাচ্চা হয়তো ভাবতে পারে সে স্বাভাবিক নয়। আর এমন ভাবনা মোটেই ভালো নয়।
* বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করার আগে সন্তানকে বলুন, যেন সে প্রস্তুতির কিছুটা সময় পায়। একথা ভুলে গেলে চলবে না যে লাজুক স্বভাব যাদের, তাদের সামাজিক হতে একটু সময় লাগে।
* সন্তান যদি নিজে থেকেই বন্ধুদের সঙ্গে মিশবে, তখন তাকে অভিবাদন জানান। এতে তাদের মনের জোর বাড়বে।
* সামাজিক হতে সন্তানকে জোর করবেন না। এমনটা করলে হয়তো আগামী দিনে আপনার শিশু ভয় পাবে। বরং ধৈর্য ধরুন, দেখবেন নিজে থেকেই লোকের সঙ্গে মিশছে আপনার সন্তান।